Senatory Poll
Pier Goodmann
PARTY SECRETERY

    Vote Now

    রাজনৈতিক ইতিহাস

    ছাত্রলীগে যোগদান

    ১৯৬৪ সালে ফেনী জেলার পরশুরাম পাইলট হাইস্কুলে অধ্যয়নরত সময়ে স্কুলের জেনারেল ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে নেতৃত্বের সূচনা শুরু হয়। স্কুল জীবনেই বাংলাদেশে ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান ও নেতৃত্ব প্রদান করেন।

    নির্বাচিত জিএস ও ছাত্রলীগের সভাপতি

    ১৯৬৯-৭০ সালে পুরান ঢাকার টিপু সুলতান রোডস্থ সলিমুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত জিএস ও একই সাথে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।

    যুদ্ধকালীন সময়ে সর্বপ্রথম সতর্ক প্রদানকারী

    ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জয় বাংলা বাহিনীর ৭নং প্লাটুন কমান্ডার ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সর্বপ্রথম তিনিই ঢাকায় বভিন্নি সরকারি অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে সাদা কাফনের কাপড় ও চরমপত্র পাঠিয়ে সতর্ক করে দেন।

    মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি

    ১৯৭২-১৯৭৩ সালে সলিমুল্লাহ ডিগ্রী কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি ও ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

    kamal-ahmed-mojumder-কামাল আহমেদ-মজুমদার-

    জাতীয় ছাত্রলীগ প্রশিক্ষণ দপ্তরের প্রধান

    ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল গঠন করার পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিলুপ্ত হয়ে জাতীয় ছাত্রলীগে পরিণত হলে, জাতীয় ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয় ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগরের রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ দপ্তরের প্রধান মনোনীত হন।

    সর্বপ্রথম প্রতিবাদ মিছিল

    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী নম্নিশ্রেণীর কতিপয় সেনা ঘাতক নিষ্ঠুর-নির্মমতায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নসো মুজিবসহ সপরিবারে সবাইকে হত্যার পর, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে পশ্চিম জার্মানিতে থাকায়, আল্লাহর রহমতে প্রাণে বেঁচে যান। সর্বপ্রম তাঁর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয় এবং সেদিন যারা নাজাত দিবসের আয়োজন করতে চেয়েছিল, তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করা হয়।

    “মুজিব কণ্ঠ” নামে পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশ

    ১৯৭৫ সাল-পরবর্তী ‘মুজিব কণ্ঠ’ নামে একটি পত্রিকা তিনি নিয়মিত প্রকাশ করেন, যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার তীব্র প্রতিবাদ ধারাবাহিকভাবে করা হয়। উল্লেখ্য যে, ওই সময় কোনো পত্রিকা বঙ্গবন্ধুর নাম ছাপাতেও কেউ সাহস করেনি। ‘মুজিব কণ্ঠ’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ’ প্রকাশের কারণে একাধিকবার ডিজিএফআই তাঁকে গ্রেফতার করে, তাঁর উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। তাঁকে চোখ বেঁধে নির্যাতনের পর মৃত মনে করে রাস্তার পাশে ড্রেনে ফেলে দেয়া হয়।

    kamal-ahmed-mojumder-কামাল আহমেদ-মজুমদার-2

    সভাপতি ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন

    ১৯৭৫ সালের পনেরো আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সবচেয়ে সংকটময় মুহূর্তে ১৯৭৬-১৯৭৯ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত রাখতে পর পর দু’বার তাঁকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে হয়। একই সাথে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছাড়াও, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্বও তিনি পালন করেন।

    ছাত্রলীগের সম্মেলনে সভাপতি

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এবং মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের ওই সময় ফরিদপুর জেলে আটক থাকাকালীন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলনে তিনি তাঁকে সভাপতি হিসেবে নাম প্রস্তাব করেন এবং বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধিদের সমর্থন আদায় করেন।

    কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য

    কামাল আহমেদ মজুমদার ছাত্রলীগ থেকে অবসর নেয়ার পর, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

    জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ

    ১৯৯৩ সালে তৎকালীন ঢাকা-১১ আসন তথা বৃহত্তর মিরপুর থেকে জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে তাঁকে পরাজিত ঘোষণার পর পরই মিরপুর তথা দেশব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়া ও আন্দোলন গড়ে উঠে। মিরপুরের সেই নির্বাচন থেকে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের জোরালো দাবির সূচনা হয়।

    ১১ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন

    ১৯৯৬ সালে ঢাকা-১১ আসন (মিরপুর, পল্লবী ও কাফরুল) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে মনোনয়ন দেয়া হয়। নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী জনাব এখলাস উদ্দিন মোল্লাহকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন তাঁর নির্বাচনী এলাকা মিরপুর থানা, পল্লবী থানা, কাফরুল থানা, তুরাগ থানা তথা উত্তরা থানাধীন হরিরামপুর ইউনিয়ন থেকে শুরু করে বালুঘাট, গাবতলী, কল্যাণপুর অর্থাৎ এই বিশাল এলাকা নিয়ে গঠিত ছিল।

    মিথ্যা মামলা ও অত্যাচার

    ২০০১ সালে পুনরায় তাঁকে মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি নির্বাচিত হওয়া সত্তে ও ১৯৯৬ সালের মতো ব্যাপকভাবে কারচুপির মাধ্যমে ৪ দিন পর তাঁকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। অথচ নির্বাচন কমিশন তাঁর নির্বাচনী এলাকার পাশেই অবস্থিত। কোনো জাতির নির্বাচনী ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত বিরল দৃষ্টান্ত। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয়, তাঁর উপর অত্যাচারের স্টীম রোলার। খালেদা জিয়া গাড়ি বহরে হামলা-মামলা, বিদ্যুৎ অফিসে অগ্নসিংযোগের ঘটনায় মামলা, বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত আন্দোলন ও সংগ্রামের প্রতিটি কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। উত্তরায় একে-৪৭ অস্ত্রের মামলাসহ ৫২টি মিথ্যা মামলা তাঁর নামে দায়ের করা হয়। বহুবার তাঁকে গ্রেফতার করে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। সাভারে তাঁর গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। তৎকালীন বিরোধীদলের নেত্রী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা মহান জাতীয় সংসদে এই বিষয়ের উপর বক্তব্য তুলে ধরেন। ধামরাইতে অবস্থিত তাঁর এস.এস এগ্রো কমপ্লেক্স (প্রা.) লি.-এ লুটপাট করে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, মাছ, ধান লুট করে নিয়ে যায় বিএনপি-জামাতের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা।

    সহ-সভাপতি এবং উত্তরের সদস্য

    ২০০৩ সালে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি ১নং সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর এর উপদেষ্টা পরিষদের ১নং সদস্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন।

    কারাগারে আটক এবং নির্যাতনের শিকার

    ২০০৭ সালের ১/১১ পটপরিবর্তনে সর্বপ্রম তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অথচ মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল নো-অ্যারেস্ট, নো-হ্যারেস। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো মামলা দায়ের না করে, বিনা কারণে তাঁকে ১৮ মাস কারাগারে রাখার পর, আয় বহির্ভূত অর্জনের দায়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়। তাঁর স্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য যে, তাঁর স্ত্রীর নিজ একাউন্টে তখন মাত্র ৬,০০০/- টাকা ছিল। কিন্তু সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাঁকে ২২ মাস কারাগারে আটক রাখা হয়। তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্মম নির্যাতন করা হয়।

    পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন বানচাল

    ২০০৭ সালে আবারো তিনি মনোনয়ন লাভ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেই নীল নকশার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। পরিকল্পিতভাবে আলহাজ্ব কামাল আহমেদ মজুমদারের সেবারের নির্বাচন বানচাল করে দেওয়া হয়।

    দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত

    ২০০৮ সালে তাঁকে ঢাকা-১৫ আসন (মিরপুর, কাফরুল, শেরেবাংলা ও ভাষানটেক থানার একাংশ) থেকে মনোনয়ন দেয়া হলে, তিনি বিএনপি প্রার্থী হামিদুল হক খানকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

    তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত

    ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসন থেকে তিনি পুনরায় অর্থাৎ সর্বমোট তিনবার জাতীয় সংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। সমাজসেবক হিসেবে বুদ্ধিজীবী ফোরাম কর্তৃক স্বর্ণপদকসহ অসংখ্য সম্মাননা পদক পেয়েছেন।

    শিল্প প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত

    তিনি ৩০ ডসিম্বের ২০১৮ অনুষ্ঠতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ১৫ আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ৭ই জানুয়ারি ২০১৯ র্বতমান সরকাররে দায়ত্বিভার গ্রহণ করেন। বর্তমানে কামাল আহমেদ মজুমদার জাতীয় সংসদের এমপি এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

    বৃহত্তর মিরপুরের মাটি ও মানুষের নেতা ঢাকা-১৫ আসনের নৌকার প্রার্থী হিসেবে আবারো মনোনীত শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কামাল আহমেদ মজুমদার।

    40K+

    Total Volunteer

    23K+

    Campaigns

    35K+

    Vote Paper

    66K+

    Coverage Area